স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর নিউজ ডট কম) ॥ দিনাজপুর জেলায় ১২ হাজার ১৯ হেক্টর জমিতে বাম্পার পাট উৎপাদন। পাট কর্তনের পর ফলন হয়েছে ১ ল ৮ হাজার ৮৯৭ দশমিক ৬ বেল। উৎপাদিত পাট থেকে কৃষকেরা ভালো মূল্য পাচ্ছে।
দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ সিকেন্দার আলী জানান, চলতি বছর জেলায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষের ল্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। কৃষি অধিদপ্তর থেকে পাট চাষীদের রাসায়নিক সার ভূর্তুর্কি প্রদান করায় এবারে জেলায় ১ হাজার ১৯ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত পাটের ফলন অর্জিত হয়ে ১২ হাজার ১৯ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়। গত আগষ্ট মাস থেকে পাট কর্তন শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে শেষ হয়েছে। অর্জিত পাটের মধ্যে ২ হাজার ২৯৬ হেক্টর জমিতে দেশী পাট হেক্টর প্রতি ৮ দশমিক ৪ বেল এবং ৯ হাজার ৭২৩ হেক্টর জমিতে ১১ দশমিক ২ বেল ফলন উৎপাদন হয়। দেশী ও তোষা পাট উৎপাদন হয় ১ ল ৮ হাজার ৮৯৭ দশমিক ৬ বেল। সূত্রটি জানায়, পাটের ওজন পদ্ধতি ২শ কেজিতে ১ বেল নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর থেকে পাটের মান নির্ধারণে কৃষি অধিদপ্তর থেকে পাটের আশ ছড়ানোর জন্য কৃষকরা অত্যাধুনিক রিবনার মেশিন প্রদান করা হয়। গত বছর জেলায় কৃষকদের মধ্যে ৭৫০টি এবং চলতি বছর ৮৫০টি রিবনার মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে। উৎপাদিত পাটের ৮০ ভাগ কৃষক রিবনার মেশিনের মাধ্যমে পাটের আশ ছড়ানোর কারণে পাটের মান ও উৎপাদিত ফলন ভালো হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে পাট কর্তনের পর ডোবা, নালা ও নদীতে পাট ডুবিয়ে রাখার জন্য কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হতো। গত দু’বছরে জেলার ৫৩০টি ডোবা, নালা খনন করা হয়। ফলে চলতি বছর পাট চাষীরা সহজেই তাদের পাট কর্তনের পর ওইসব ডোবা ও নালায় ডুবিয়ে রাখতে পারছে। গত বছর জেলায় ৮৪১ জন পাট চাষী ছিল। চলতি বছর ১ হাজার ৯৭ জন কৃষক পাট চাষ করেছে। সূত্রটি জানায়, গত কয়েক বছর কৃষকেরা পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার পাট চাষে কৃষকদের ভুর্তুর্কি প্রদান করায় কৃষকেরা পুনরায় আগ্রহ হয়েছে। মাঝারি জমিতে বোরো ধান কর্তনের পর পুনরায় ওই জমিতে অনেক কৃষক পাট চাষ করে অতিরিক্ত ফলন উৎপাদনে সম হয়েছে। পাট কর্তনের পর ওই জমিতে আবার আমন ধান রোপন করা হয়েছে।